যে কাজে আমাদের সাফল্য
আমাদের সবার টার্গেট জীবনে সফল হওয়া। সেই সফলতা দুনিয়া ও আখেরাতের। পার্থিব সফলতার জন্য আমরা কত চেষ্টা-সাধনাই না করে থাকি। তবে পরকালীন সাফল্যের জন্য আমাদের তেমন কোনো সাধনা নেই অথচ হওয়ার কথা ছিল উল্টোটা। কারণ দুনিয়ার তুলনায় আখেরাতের পরিধি অনেক বেশি দীর্ঘ। আখেরাতের সঙ্গে তুলনা করলে দুনিয়ার জীবনের কোনো অস্তিত্বই নেই। আখেরাত ভুলে আমাদের দুনিয়ার পেছনে এই যে বিভোরতা এর পেছনে রয়েছে প্রবৃত্তির হাত। প্রবৃত্তির বেড়াজাল থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা থাকতে হবে সবার মধ্যে।
মুমিন জীবনে সফল হওয়ার মতো অনেক কাজ আছে। তবে দুটি কাজের মধ্য দিয়ে অতি সহজে সফল হওয়া সম্ভব। কারণ এই দুটির মধ্যে নিহিত আছে অনেক কিছু। সেই দুটি কাজ হলো নামাজের প্রতি যত্নবান হওয়া এবং হারাম খাবার থেকে বেঁচে থাকা। কেউ নিয়মিত নামাজ আদায় করলে তার দীন অনেকটাই পূর্ণাঙ্গ হয়ে গেল। হাদিসে বলা হয়েছে, যে নামাজ কায়েম করল সে দীন প্রতিষ্ঠা করল। যে নামাজ ছেড়ে দিল সে দীনকে ধ্বংস করল। নামাজ দ্বারা মুমিনকে অন্যদের থেকে আলাদা করা যায়। কোনো যৌক্তিক কারণে কখনো জামাত ছুটে গেলেও যেখানেই থাকুন, যে অবস্থাতেই থাকুন, কোনোক্রমেই নামাজ ছাড়বেন না।
হারাম খাবার ও উপার্জন থেকে বেঁচে থাকার গুরুত্ব অনেক বেশি। হারাম সম্পদকে নিজের জন্য বিষাক্ত সাপ মনে করতে হবে। মানুষ সাপকে যেমন ভয় করে হারাম সম্পদকেও তেমনি ভয় করতে হবে। নিজের সংসারে কখনো হারাম সম্পদের অনুপ্রবেশ ঘটতে দেবেন না। চাই সেটা সুদ আকারে হোক, ঘুষ আকারে হোক, সুদি লেনদেনের মধ্যস্বত্বভোগী হয়ে হোক বা যেভাবেই হোক, সবই হারাম। এসব কাজে পাওয়া পারিশ্রমিকও হারাম। এমনিভাবে কাজে ফাঁকি দিয়ে দায়িত্বে অবহেলা করে পূর্ণ বেতন নেয়াও হারাম। এককথায় হারাম খাওয়ার যত পথ ও উপায় আছে সব থেকেই দূরে থাকতে হবে। কেউ নিজেকে হারাম খাবার থেকে বিরত রাখতে পারে আল্লাহর প্রিয় হওয়ার জন্য। হারাম খাবার পেটে নিয়ে যত ইবাদতই করুক তা আল্লাহ পর্যন্ত পৌঁছবে না। এজন্য সফল জীবনের প্রত্যাশীদের নামাজের ব্যাপারে যতœবান হওয়ার পাশাপাশি হারাম থেকে বেঁচে থাকতে হবে।